

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজে স্নাতকের ফাঁকা আসন পূরণের দাবিতে নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২ মার্চ) দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। তারা বলেন, সাত কলেজের মোট আসনের মধ্যে প্রায় তিন হাজার আসন ফাঁকা থাকা সত্ত্বেও ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করে দেওয়া হচ্ছে।
সড়ক অবরোধের কারণে এই মুহূর্তে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের দাবি, বিষয় মনোনয়নের সময় সাত কলেজের আসন সংখ্যা ২৬ হাজার ১৬০টি বলা হলেও চূড়ান্ত মনোনয়নের পর বলা হচ্ছে আসন সংখ্যা ২৩ হাজার ২৬২টি। যা কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
এসময় ‘উই ওয়ান্ট কলেজ, উই ওয়ান্ট সাবজেক্ট’, ‘মানি না, মানবো না’- ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।
শিক্ষার্থীরা জানান, ফাঁকা আসন পূরণসহ দুই দফা দাবিতে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আমরা শাহবাগে সমাবেশ করেছি। এরপরও কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবির বিষয়ে কোনো কর্ণপাত করেনি। অথচ অনেক শিক্ষার্থী সাত কলেজে অপেক্ষমাণ থাকায় অন্য কোথাও ভর্তি হয়নি।
এই অবস্থায় দ্রুত সময়ের মধ্যে সাত কলেজের সবগুলো আসনে শিক্ষার্থী ভর্তিসহ দুই দফা দাবি আদায়ে নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। এরপর ঢাবি ভিসির কার্যালয়ের সামনেও অবস্থান নেবে ভর্তিচ্ছুরা।
গত বছরের ৫ ডিসেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাত কলেজের বিজ্ঞান অনুষদ, বাণিজ্য অনুষদ, কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিষয়ক ওয়েবসাইটে লগইন করে কলেজ ও বিষয় পছন্দ করেন। শিক্ষার্থীদের আবেদন ও ফলের ভিত্তিতেই কলেজ এবং বিষয় বরাদ্দের ফল দেওয়া হয়। এরপর শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে তাদের ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন।
সবশেষ গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে আটটার দিকে অধিভুক্ত কলেজ সমূহের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিষয়ক ওয়েবসাইটে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। এর মধ্য দিয়ে স্নাতক ১ম বর্ষ ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির মেধাতালিকা প্রকাশ শেষ হয়।
এর আগে ৫ ও ৬ নভেম্বর সাত কলেজের বাণিজ্য, বিজ্ঞান অনুষদ এবং ১৭ নভেম্বর কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ভর্তি পরীক্ষায় বাণিজ্য অনুষদে পাসের হার প্রায় ৭৩ শতাংশ, বিজ্ঞান অনুষদে পাসের হার ৫৭.৭০ শতাংশ এবং কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে পাসের হার ৬৭.৯ শতাংশ।