

হাফিজুর রহমান, কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: খেজুর দেওয়ার প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে বাগানে ডেকে নিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীর ১ স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক একই বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর আরাফাত নামে ১ ছাত্রকে জনতা ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা ইউনিয়নের পশ্চিম পাইকাড়া গ্রামে শুক্রবার (১৬ মে) বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর প্রথমে বাবা ,মাকে বিষয়টি না জানালেও পরবর্তীতে যন্ত্রণায় অধিক শোকাতুর হয়ে জানালে ঐ সময় রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ভুক্তভোগী ছাত্রীকে কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ঘটনা জানতে পেরে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে ধর্ষক আরাফাত কে গণপিটুনি দিয়ে তার বাবার,মার মাধ্যমে পুলিশে সোপার্দ করা হয়। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় পশ্চিম পাইকাড়া গ্রামের মিজানুর রহমানের পুত্র আরাফাত হোসেন পশ্চিম পাইকাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র। ওই একই বিদ্যালয়ে খায়রুল ইসলামের কন্যা দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়াশোনা করে। শুক্রবার ছুটি থাকায় বিকালে খেলার জন্য রাস্তার পাশে ভুক্তভোগী ছাত্রী দাঁড়িয়ে ছিল। ওই সময় খেজুর দেওয়ার প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে বাগানে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি ভুক্তভোগী এই স্কুল ছাত্রী প্রথমে বাড়িতে যেয়ে ভয়ে কাউকে কিছু না বললেও পরবর্তীতে যন্ত্রণায় শোকাতুর হয়ে বাবা ,মাকে জানায়। ওই সময় রক্তাক্ত অবস্থায় দ্রুত কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে কর্তব্যরত ডাঃ রুপা রানী পাল এ প্রতিনিধিকে জানান রোগীর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে ধর্ষণের ঘটনা ধর্ষক আরাফাতের বাবা স্বীকার করেন। উক্ত ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় এজাহার দায়ের করেছে । এ ব্যাপারে কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাফিজুর রহমানের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান বিষয়টি মামলার প্রক্রিয়াধীন আছে।