মোশাররফ হুসাইন, বিশেষ প্রতিবেদক: রাজধানীর চকবাজারে আগুনের ঘটনায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের মরদেহ উদ্ধার করার প্রক্রিয়া চলছে।
ফায়ার সার্ভিস পরিদর্শক মো. আনোয়ার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ৬ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আমরা দুতলায় ৬ জনের মরদেহ পেয়েছি। আরও মরদেহ পাওয়া যেতে পারে।
এর আগে, ফায়ার সার্ভসের কর্মীরা জানিয়েছিলেন, আগুনের সূত্রপাত যে হোটেলে আগুন লাগার সময় সেই বরিশাল হোটেলের পাঁচ কর্মী ভেতরে ছিলেন। তাদের মধ্যে থেকে কয় জন বের হতে পেরেছেন তা কেউ নিশ্চিত বলতে পারেননি।
ফলে ভবনের ভেতরে একাধিক মরদেহ থাকতে পারে।
বরিশাল হোটেলের কর্মী মো. ওসমান (২৫) ও মো. বিল্লাল নামে দুজন নিখোঁজ বলে দাবি করেছেন তাদের স্বজনরা। অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে সবার মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে বলে তারা জানান।
নিখোঁজ ওসামানের খালাতো ভাই মো. রুবেল বলেন, যে ভবনে আগুন লেগেছে সেটির নিচ তলায় বরিশাল হোটেলে কাজ করত ওসমান। রাতে কাজ করে ওই ভবনের দুই তালায় ঘুমিয়ে ছিল। কিন্তু আগুন লাগার পরে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। একাধিকবার তার ফোনে কল করলেও ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, আগুন লাগা ভবনটির দু’তলায় গিয়েছিলাম। সেখানে আমরা মানুষের হাড়ের মতো কিছু দেখতে পেয়েছি।
মো. আব্দুল্লাহ নামের আরেকজন জানান, মো. বিল্লাল (৩৩) নামে তার দুলাভাইও নিখোঁজ। তিনিও বরিশাল হোটেলে কাজ করতেন। গত রাতে নাইট ডিউটি শেষে আগুন লাগা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ঘুমাচ্ছিলেন। আগুন লাগার পর থেকে তার আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে লাগা আগুন প্রায় ২ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস।
হোটেলের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে জানিয়েছেন কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী। তারা বলছেন, সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর আগুন শুরুতে বিদ্যুতের ট্রান্সফরমারে যায়। সেখানে আরেক দফা বিস্ফোরণের পর প্লাস্টিকের খেলনা তৈরির কারখানায় আগুন লাগে।
অগ্নিকাণ্ডে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি।