হাফিজুর রহমান, কালীগঞ্জ থেকে: ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে বীমা করে বিপাকে অসহায় ড্রাইভার জিয়ারুল। টাকার জন্য জিয়ারুল এখন দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বীমার মেয়াদ ১০ বছর উত্তীর্ণ করে ২’বছর ধরে মেয়াদ উত্তীর্ণ বিমার টাকা পাওয়ার আশায় অফিসে ধর না দিলেও দেখা মিলছে না ওই অফিসের কোন কর্মকর্তা কর্মচারীদের।
ঘটনাটি প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার থানা রোডের এম, এম প্লাজার দ্বিতীয় তলায় ফরেস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির অফিসে। এইভাবে প্রতিনিয়ত প্রতিদিন শত শত গ্রাহক টাকার জন্য অফিসে এসে ধর্না দিলেও দেখা মেলে না অফিস ব্যবস্থাপকের। গতকাল খোঁজ নিয়ে জানা যায় কালীগঞ্জ উপজেলার বাজার গ্রামের আব্দুল জব্বারের পুত্র শেখ জিয়ারুল কে অধিক লাভের দ্বিগুণ প্রতারনার ফাঁদে ফেলে ১০বছর মেয়াদী বার্ষিক ৫,১২১ টাকা প্রিমিয়ামে ৫০ হাজার টাকার একটি বিমা ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কালীগঞ্জ শাখায় খোলে। উক্ত বিমার মেয়াদ গত ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০ সালে শেষ হয়ে দীর্ঘ ২ বছর মেয়াদ উত্তীর্ণ বিমার টাকার জন্য ধরনা দিয়ে বেড়ালেও এখনো পর্যন্ত টাকার কোন খোঁজ মেলেনি। এদিকে অসহায় দিনমজুর ড্রাইভার টাকার জন্য কালিগঞ্জ শাখায় গেলেও শাখা ম্যানেজার শাহিনুর কে পাওয়া যায় না বলে সাংবাদিকদের জানান। তবে ঘটনার সত্যতা জানার জন্য এম, এম প্লাজায় অবস্থিত ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির অফিসে রবিবার বেলা২ টার সময় গেলে অফিসের ৩/১জন পিয়ন ছাড়া বাকি কাউকে দেখা মেলেনি। অথচ দেখা গেছে শত শত গ্রাহক অফিসের ম্যানেজারের অপেক্ষায় অপেক্ষা করতে। এইভাবে টাকার জন্য প্রতিদিন গ্রাহকরা অফিসে এসে হয়রানির শিকার হলেও বিষয়টি দেখার কেউ নাই। ভুক্তভোগী জিয়ারুল সাংবাদিকদের জানান আমার বীমা নং ৬৭০০০০৫২৯৪- ৩ সহ সব কাগজপত্র জমা নিলেও আজও পর্যন্ত আমার টাকা দেওয়ার কোন আশ্বাস দিতে পারে নাই। এ ব্যাপারে অত্র শাখার ব্যবস্থাপক শাহিনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান মেয়াদ উত্তীর্ণ বীমার সকল কাগজপত্র উপরে পাঠানো হয়েছে। টাকা না আসলে আমাদের করার কিছু নাই। বীমা কোম্পানির হাজার হাজার কোটি টাকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মেরে খাওয়ায় এখন গ্রাহকদের ভোগান্তি পড়াতে হচ্ছে। অফিসে না বসা প্রসঙ্গে জানান প্রতিনিয়ত গ্রাহকদের টাকার চাপে অফিসে কম আসি। টাকার আশায় ভুক্তভোগী গ্রাহকরা জেলা প্রশাসক মহোদয় ওজেলা পুলিশ সুপার মহোদয়ের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।