

হাফিজুর রহমান, কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) থেকেঃ কলারোয়ায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত কারান্তারীন উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শেখ আব্দুস সাত্তারের বাড়িতে দুধর্ষ চুরি সংগঠিত হয়েছে। চোরেরা এ সময় তার বাড়ির জানালার গ্রিল কেটে ভিতরে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে বাড়ির সবাইকে জিম্মি করে নগদ দেড় লক্ষ টাকা এবং ১০ ভরি স্বর্ণালংকার সহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে সকাল ৮ টার সময় কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইন চার্জ মোঃ শাহিন ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার( ৫ জুন) রাত আড়াইটার সময় সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের ধলবাড়িয়া গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান ও কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি কারান্তরিন এডভোকেট শেখ আব্দুস সাত্তারের বাড়িতে। উক্ত ঘটনায় তার পুত্র সেখ আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার থানায় ১টি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। থানা সূত্রে এবং সকাল সাড়ে ১০টার সময় সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গেলে কারান্তারিন সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার স্ত্রী রেহানা পারভীন, পুত্র শেখ আসাদুজ্জামান ও তার স্ত্রী তানিয়া আক্তার এবং ভাগ্নে ৭ বছরের শিশু অনিক সাংবাদিকদের জানায় প্রতিদিনের ন্যায় তারা রাত্রি খাবার খেয়ে দ্বিতল ভবনের দ্বিতীয় তলায় সবাই নিজ নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে পড়ি। এই সুযোগে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে ৫/৬জনের একটি মুখোশ পরিহিত চোরচক্রের সদস্যরা প্রথমে নিচ তালার জানালার একটি গ্রিল কেটে খুলে গেট না ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। এরপর সিড়ি বেয়ে উপরে ওঠে দ্বিতীয় তালার দরজার নাট, স্ক্রু খুলে ভিতরে প্রবেশ করে। এরপর প্রথমে গৃহকর্ত্রী রেহেনা খাতুন কে এবং তার নাতি শিশু অনিককে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তার পুত্র আসাদুজ্জামান এর রুমে নিয়ে ডেকে তুলে একই রুমে সবাইকে একসাথে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ দেড় লক্ষ টাকা এবং ২ জোড়া রুলি, ২ জোড়া কানের দুল, ১ টি নেকলেস ৩ টি আংটি সহ মোট ১০ ভরি স্বর্ণ সহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে ঘন্টা ব্যাপী তান্ডব চালিয়ে কাউকে কিছু না বলার হুমকি দিয়ে বেরিয়ে যায়। বিষয়টি থানায় জানালে থানা হতে সকালে অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহিন নিজেই ঘটনাস্থ পরিদর্শন করেন। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহিন সাংবাদিকদের জানান এইমাত্র অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি মামলার প্রক্রিয়াধীন আছে।