হাফিজুর রহমান কালিগঞ্জ থেকে: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ থেকে ৫’শ গজ পূর্বে উপজেলা সদরে বসবাসকারীশত শত পরিবার অভিশপ্ত জলবদ্ধতা থেকে মুক্তি ও বাচার আকুতি জানিয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয়েরআশু হস্তক্ষেপ দাবি করেছে। বিষয়টি নিয়ে যুগ যুগ ধরে এলাকাবাসী ভোগান্তি পোহালেও দেখার কেউ নাই। বহু বছর ধরে উপজেলা সদরের ১ন; নম্বর কুশুলিয়া ইউনিয়নের বাজার গ্রাম, বাজার গ্রাম রহিমপুর এলাকায় বসবাসকারি শত শত পরিবার এই জলবদ্ধতা এর কাছে জিম্মি হয়ে নানান ভোগান্তির মধ্যে বসবাস করলেও আজ পর্যন্ত সমস্যা সমাধানের জন্য কারো দেখা মেলে নাই। পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষা মৌসুমসহ অধিকাংশ সময় জলবদ্ধতার কারণে এখানকার বসবাসকারী লোকজন ঘরের বাহির হতে নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় প্রতিনিয়ত।
সদরে অবস্থিত প্রায় ৬/৭টি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা বাজার সহ কালিগঞ্জ- শ্যামনগর প্রধান সড়ক, থানা সড়ক অবস্থিত। এলাকার রাস্তাগুলো দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় বর্ষার পানিতে তলিয়ে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে যার কারণে বর্তমানচলাচলের অযোগ্য রাস্তার পাশে জলবদ্ধতায় মশার প্রজননখামারে পরিণত হয়েছে। এই সমস্ত কারণে এলাকায় মশার উপদ্রবএর হাত থেকে বাচা মুশকিল হয়ে পড়েছে। কালিগঞ্জ থানা সড়কের পাশে ফুলতলা আল্লাহর দান মৎস্য সেটের পাশে অবস্থিত সড়ক ও জনপদ বিভাগের অফিসটি বছরের অধিকাংশ সময় পানিতে তলিয়ে থাকে। যে কারণে সড়ক ও জনপদ বিভাগের অফিসটি এখন মশা উৎপাদনের খামারে পরিণত হয়েছে। কালিগঞ্জ সদরে বসবাসকারী সাধারণ মানুষ ছাড়াও অত্র এলাকায় কালিগঞ্জ সরকারি কলেজ, কালিগঞ্জ রোকেয়া মনসুর মহিলা ডিগ্রী কলেজ, কালিগঞ্জ দারুল উলুম মাদ্রাসা, কালিগঞ্জ পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, এম খাতুন সদর প্রাথমিক বিদ্যালয়, কালিগঞ্জ সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সদর প্রাথমিক বিদ্যালয় এ পড়াশোনা করা শত শত শিক্ষার্থীর এই এলাকা এবং রাস্তা দিয়ে যাতায়াত ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা জনসাধারণকে উপজেলা সদরে অবস্থিত বিভিন্ন দপ্তরে যাতায়াত করতে ভোগান্তি পোহাতে হয়। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী এলাকার সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের নিকট প্রতিকার চেয়ে লিখিত আবেদন করেও কোন কাজ হয়নি। শুধুমাত্র সংসদ, উপজেলা, ইউপি নির্বাচনের সময় ভোট ভিক্ষার জন্য দ্বারে দ্বারে জনগণের কাছে মিথ্যা নানান প্রতিশ্রুতি দিলেও নির্বাচিত হয়ে ঐ সমস্ত জনপ্রতিনিধির আর কোন দেখা মেলে না। আবার হয়তো পাঁচ বছর পরে একইভাবে প্রতিশ্রুতির ডালানিয়ে হাজির হবে। আর এ কারণেই সরকারের ভাবমূর্তি নানাভাবে প্রশ্নের সম্মুখীন হলেও দলীয় নেতাকর্মীদের কোন খোঁজ মিলেনা। জনদুর্ভোগ এর হাত থেকে বাঁচার জন্য বিষয়টি সরজমিনে তদন্ত-পূর্বক এলাকাবাসীকে জনদুর্ভোগের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয়েরআশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।