Thursday, April 25সময়ের নির্ভীক কন্ঠ
Shadow

আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত্যু বেড়ে ৯৫০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৯৫০ জনে দাঁড়িয়েছে। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা। তবে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আফগানিস্তানের পাকটিকা প্রদেশ। আহত হয়েছেন ছয় শতাধিক মানুষ। প্রায় ৫০০ কিলোমিটার জুড়ে ভূমিকম্প টের পাওয়া গেছে। কেঁপে উঠেছে পাকিস্তানের একাংশও। এ খবর দিয়েছে এনডিটিভি।

ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল আফগানিস্তানের খোস্ত শহর থেকে ৪৪ কিলোমিটার দূরে। মাটির নীচে ৫১ কিলোমিটার গভীরে কম্পন হয়। রিখটার স্কেলে তার মাত্রা ছিল ৬.১। ভূমধ্যসাগরীয় ভূমিকম্প বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, প্রায় ৫০০ কিলোমিটার জুড়ে কম্পন অনুভূত হয়েছে। আফগানিস্তানের কয়েকটি প্রদেশ, পাকিস্তান এবং ভারতের সামান্য অংশে কম্পন হয়েছে। এরইমধ্যে উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়েছে।

পাকিস্তানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইসলামাবাদে হাল্কা কম্পন হয়েছে। তবে লাহোর, মুলতান, কোয়েটায় ভূমিকম্পের তীব্রতা অনেক ছিল। তবে পাকিস্তান থেকে এখনো পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির খবর আসেনি। গত শুক্রবারই ওই অঞ্চলে ৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল।

আফগানিস্তানে ভূমিকম্পের পর সরকারের মুখপাত্র বিলাল কারিমি বলেন, “দুঃখজনকভাবে গতরাতে পাকতিকা প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছে। এতে কয়েকশ মানুষ নিহত এবং বহু বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। আমরা সকল সাহায্য সংস্থার কাছে সেখানে সাহায্য পাঠানোর আবেদন জানাচ্ছি।”

২০০২ সালের পর বুধবারের এই ভূমিকম্পটি আফগানিস্তানে সবচেয়ে প্রাণঘাতী। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, বুধবার ভোরের দিকে আফগানিস্তানের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের প্রত্যন্ত পার্বত্যাঞ্চলীয় খোস্ত প্রদেশে ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। খোস্ত শহর থেকে ৪৪ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে পাকিস্তান সীমান্তের কাছে ভূপৃষ্ঠের ৫০ দশমিক ৮ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়েছে।

এক বিবৃতিতে আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠী তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা ভূমিকম্পে হতাহতদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন।

রয়টার্স বলছে, গত আগস্টে বিদেশি সৈন্যদের বিদায়ের পর সশস্ত্র এই গোষ্ঠী ক্ষমতায় আসায় আফগানিস্তানের সঙ্গে বেশির ভাগ দাতব্য সংস্থার সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন রয়েছে। যে কারণে প্রাকৃতিক এই দুযোর্গ মোকাবিলা তালেবান সরকারের জন্য বড় ধরনের পরীক্ষা হতে পারে।

শেয়ার বাটন