

নিজস্ব প্রতিবেদক: অধ্যক্ষ লুৎফুন নাহারের পদত্যাগ ও এসএসসি পরীক্ষা দিতে রেজিস্ট্রেশন নিশ্চিত করার দাবিতে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছেন ঢাকার গেন্ডারিয়ার মনিজা রহমান গালর্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের কয়েকশো শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষক।
রোববার (২০ মার্চ) দুই দফা দাবি নিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বেলা সাড়ে ১১টায় এ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন শুরু করে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। এতে অভিভাবক ও শিক্ষকদেরও অংশ নিতে দেখা যায়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা যারা ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী আমরা গত দুই সপ্তাহ আগে জানতে পারি আমাদের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়নি। তাই এখন এসএসসি পরিক্ষা অংশগ্রহণে অনিশ্চিয়তার মধ্যে দিন পার করছি। বোর্ড থেকে বলা হয়েছে বর্তমান অধ্যক্ষ লুৎফুন নাহার তার পদে বহাল থাকলে আমাদের রেজিস্ট্রেশন হবে না। এখন আমাদের দাবি হলো, অধ্যক্ষের দ্রুত পদত্যাগ এবং রেজিস্ট্রেশন নিশ্চিত করে পরিক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ।
ওই স্কুলের সহকারী অধ্যক্ষ কামরুন্নাহার আমাতুল্লাহ জানান, চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় ২৮০ জন শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ করার কথা ছিল এবং আগামী বছর অর্থাৎ নিউটেন -এ প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন করার কথা ছিল কিন্তু অধ্যক্ষের দুর্নীতির কারণে বোর্ড রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া বাতিল করে দিয়েছে।
শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করে সহকারী শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎতের কথা চিন্তা করে তাদের আন্দোলনের সাথে একমত হয়ে নিজেও এ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছি।
তিনি আরও দাবি করেন, আমরা শিক্ষকরাও ভুক্তভোগী আমাদেরও দু’মাসের বেতন আটকে রাখা হয়েছে।
রেজিস্ট্রেশন না হওয়ায় সন্তানদের এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন অভিভাবকরাও।
লামিসা পরি নামে এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক দৈনিক আমার সংবাদকে বলেন, এই স্কুলের অধ্যক্ষ লুৎফুন নাহার একসঙ্গে দুটি প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এটা উনি কিভাবে করছেন? বোর্ড থেকে অধ্যক্ষের পদত্যাগের কথা বলা হলেও তিনি পদত্যাগ করছেন না। রেজিস্ট্রশনের ব্যাপারে বোর্ডও কোনো সহযোগিতা করছে না। আমরা সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তায় আছি।
স্কুলটির রেজিস্ট্রেশন না পাওয়া এবারের পরিক্ষার্থী মোশাররফ তাবাসসুম বলেন, কিছুদিন পরেই এসএসসি পরীক্ষা, আমরা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছি। অথচ এখন জানতে পারি রেজিস্ট্রেশনই হয়নি আমাদের। বোর্ডে যোগাযোগ করেছি। বোর্ড বলছে, প্রিন্সিপাল রেজিস্ট্রেশন করেননি।